শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ : ৫৩Riya Patra
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৭ দফা ভোটের ২ দফা সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যে। বাকি এখনও ৫। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি প্রার্থীদের হয়ে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন। সঙ্গেই প্রচার তাঁর নিজের কেন্দ্রেও। রবিবার ডায়মন্ড হারবার অর্থাৎ নিজের কেন্দ্রে সভা ছিল অভিষেকের। ভোটের আগেও বারবার চর্চায় এসেছে অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল। নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন বারবার প্রার্থীদের এলাকায় উপস্থিতির হার নিয়ে কথা ওঠে, সভার শুরুতেই অভিষেক বোঝালেন, তিনি শুধু ভোটের সময় নয়, মানুষের পাশে থাকেন সারাবছর। একদিকে যেমন তৃণমূলের উন্নয়নের কথা মনে করালেন, তেমনি বললেন, এই তীব্র দাবদাহে জল বেশি করে খাওয়ার কথা, মাথা ঠাণ্ডা রাখার কথা। বোঝালেন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জন্য ভাবনা রয়েছে তাঁর।
মনোনয়ন জমার আগে এই সভা থেকে ভোট চাইতে নয়, চাইতে এসেছেন আশীর্বাদ, নিতে এসেছেন অনুমতি, একথা দিয়েই এক প্রকার বক্তব্যের সূচনা করেন অভিষেক। বক্তব্য জুড়ে বারবার বললেন তাঁর কেন্দ্রের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ, ডায়মন্ড হারবার মডেল এর কথা। এদিনও তিনি মনে করান, ডায়মন্ড হারবার বাংলার ৪২ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূলের সবথেকে শক্তিশালী ঘাঁটি। ডায়মন্ড হারবারের দায়িত্ব এলাকার মানুষের হাতে সঁপে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বললেন, "বাকি ৪১টার দায়িত্ব আমার।" ডায়মন্ড হারবারের মানুষের কাছে যে তিনি বারবার কথা দিয়ে কথা রেখেছেন, সেকথাও মনে করিয়ে দেন উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের। সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন যেমন গেরুয়া শিবিরকে। তেমনই পরিংখ্যান তুলে ধরে অভিষেক মনে করিয়ে দিলেন, সাংসদ থাকাকালীন তিনি কী কী কাজ করেছেন সেখানকার মানুষের জন্য। অভিষেক বলেন, বিজেপি ১০ বছরে ডায়মন্ডহারবারের কোনও মানুষের জন্য কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা করেনি, তার পরেও "ডায়মন্ড হারবার দেশে এক নম্বর" । তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, গণতন্ত্রে সবার লড়াইয়ের অধিকার করেছে। তার পরেই হিসেব দিয়ে বলেন বিপক্ষের প্রার্থীরা যখন বাড়িতে নিদ্রায় নিমজ্জিত ছিল তখনও ডায়মন্ড হারবারে ১৮৫৪ কোটির কাজ হয়েছে। অঙ্কের হিসেব দিয়ে বোঝান, "যখন গোটা ডায়মন্ড হারবার ঘুমিয়েছে, তখনও সেখানে ঘণ্টায় কাজ হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার।" এটাই "ডায়মন্ড হারবার মডেল "। বিজেপিকে কটাক্ষ করার সময় অভিষেকের বক্তব্যে উঠে আসে করোনা কালের কথা। সেই সময়েও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা কিভাবে মানুষের পাশে ছিলেন, খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে কোভিড টেস্ট, তৃণমূল কিভাবে মানুষের পাশ থেকেছে সেকথাও মনে করান তিনি। নিজের কাজের হিসেব দেওয়ার সঙ্গেই অভিষেক বলেন, কেন্দ্র সরকার এবার হিসেব দিয়ে দেখাক, ১০ বছরে ডায়মন্ডহারবারের জন্য কী করেছে।
সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থী অভিষেক এদিন বললেন, " আমি মানুষের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। মনে করি সবার ওপরে মানুষ সত্য।" ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে এদিন অভিষেক বলেন, " ডায়মন্ড মডেল পথ দেখিয়েছে, আগামি দিনে ৪১ লোকসভায় ডায়মন্ডের উন্নয়নের মডেল বাস্তবায়িত করে দেখাব।" সভায় অভিষেক বলেন, ৬ তারিখ আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে যাঁরা বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে প্রথম কিস্তি। বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মন্তব্য এদিনও সভায় শোনান অভিষেক। সাতদফা ভোট নিয়েও এদিন সুর চড়ান। এই নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ৪০০ আসন ছড়িয়ে যাওয়া কথা বলছে বারবার। এদিন অভিষেক বলেন, "লিখে রাখুন, ৪০০ পারের গল্প দিচ্ছে, ২০০য় গাড়ি আটকে যাবে।" ৪ তারিখ পরিবর্তনের সরকার তৈরি হবে এবং তাতে তৃণমূল এবং বাংলার মানুষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।